ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেলে অনেকের জীবনে কষ্ট নামবেঃ জিতেন্দ্র

'ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না। যদি আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়, অনেকের জীবনে কষ্ট নেমে আসবে। বোমা, গুলি দিয়ে আমার কোনও কর্মীর ওপর আক্রমণ মেনে নেব না।' ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির। মঙ্গলবার অণ্ডালের সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। তবে এদিন তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য কাকে উদ্দেশ্য করে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। 

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বনাম পাণ্ডবেস্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারির সংঘাত নতুন কিছু নয়। তারওপর কিছুদিন আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'বেসুরো' হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে দলেই ফিরে আসেন। কিন্তু তাতেও দূরত্ব ঘোচেনি। ছেড়ে দেওয়া জেলা সভাপতি বা আসানসোল কর্পোরেশনের প্রশাসকের পদ কোনোটাই তাঁকে ফিরিয়ে দেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর ইস্তফা দেওয়ার পরই সামনে এসেছে দলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব। নরেন চক্রবর্তী মলয় ঘটকের অনুগামী বলেই পরিচিত। 

এদিন অন্ডালের বাংকোলা কোলিয়ারি এলাকায় ব্লক সভাপতির বাড়ির সামনেই ছিল দলের এই কর্মসূচি। যদিও সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন না নরেন চক্রবর্তী। সেই হিসেবে জিতেন্দ্র তেওয়রির এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। অপরদিকে, দলীয় কর্মসূচীর মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির এই হুমকির কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, ভাগ বাঁটোয়ারার লড়াই চলছে। এরপরও হুমকি দিচ্ছে ওরা, এটাই আশ্চর্যের। তৃণমূলের নিজস্ব দ্বন্দ্বই ক্ষমতায় আনবে বিজেপিকে। তবে জিতেন্দ্রর বক্তব্যের পর পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা নরেন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি ভুলে গেছেন পরিবর্তনের পর এখানে ফুলই বর্ষায়। অন্য কিছু নয়। 

তবে মঞ্চ থেকে  শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন, 'জুট ইন্ডিয়া লিমিটেডকে শুভেন্দু অধিকারী লুঠ ইন্ডিয়া কর্পোরেশন করে দিয়েছে।  এখনও সময় আছে দিদির পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসুন।' 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post