নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চে নালিশ পার্থর, পাল্টা দিলেন দিলীপও

বৃহস্পতিবার কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ দেখা করলেন রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। দফায় দফায় নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভিযোগ ও বক্তব্য জানায় রাজনৈতিক দলগুলি। ছিলেন, তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের প্রতিনিধিরা। তৃণমূলের তরফে এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ফুলবেঞ্চের কাছে গিয়েছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে বিজেপির তরফে ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, সব্যসাচী দত্তরা। সিপিএমের তরফে ছিলেন রবীন দেব, সিপিআইয়ের প্রবীর দেব, প্রমুখ। 

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর পরই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায় এদিন। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে এদিন অভিযোগ জানানো হয়, সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে গ্রামে গ্রামে বিএসএফ কর্তারা গিয়ে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সহায়তা করছে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, নাম না করেই বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পার্থবাবুর আরও দাবি, ‘তারা (বিএসএফ) ভয় দেখাচ্ছে, তারা বলছে তোমরা যদি ভোট না দাও তাহলে জেলাশাসক তোমাদের ক্ষমতায় রাখতে পারবে না, আমরাই সীমান্তে থাকব’। তৃণমূলের মহাসচিবেরে আরও দাবি, এটা ভয়ানক অভিযোগ, আমরা নির্বাচন কমিশনকে সমস্তটাই জানিয়েছি। আমরা চাই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক। 

এর পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনিও দলবল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিএসএফ নিজের কাজ করছে, আর রাজ্যের পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এসেছি’। পাশাপাশি ভোটের কাজে যুক্ত সরকারি কর্মী সহ নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষের কথায়, নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেছি যাঁরা ভয়ের মধ্যে থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। যাতে মানুষ নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা রাখতে পারেন। সারা ভারতে ভোট নিয়ে কোনও অশান্তি হয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে অশান্তি হয়েছে। গুলি চলেছে। মানুষ মারা গিয়েছেন। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় তাঁদেরও সুরক্ষা দিতে হবে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। অপরদিকে তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অভিযোগ নাকচ করে দিল বিএসএফ। ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী জানিয়েছে, বিএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী। তাঁরা সীমান্ত পাহারা দেয়। বিএসএফ সক্রিয়ভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান বন্ধ করেছে। অপরাধীদের শাস্তিও দিয়েছে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post