ট্যাব কেনার জন্য অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার! স্কুলের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ

ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজারের জায়গায় অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কুড়ি হাজার টাকা। বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশপুরের ধলহারা গ্রামে। পরে জানা যায়, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা।এদিকে সেই টাকা ফেরতের নামে স্কুলের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।

জানা গেছে, ধলহরা পাগলিমাতা উচ্চবিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের ২৪ জন ছাত্রের অ্যাকাউন্টে দশ হাজারের জায়গায় ঢুকেছে কুড়ি হাজার টাকা। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই টনক নড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, বাড়তি টাকা ফেরতের জন্য রীতিমতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হচ্ছে ছাত্রদের। ছাত্রছাত্রীরা পদ্ধতিগতভাবে সমাধানের দাবি জানালেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে না বলেই অভিযোগ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, সরকারের খাতায় নথি লিপিবদ্ধ করার সময় ইমেল আইডি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল করেছেন স্কুলেরই এক শিক্ষক। ফলে একজন ছাত্রের তথ্য দুইবার করে আপলোড হয়ে যায় ডেটাবেসে। প্রধান শিক্ষকের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁকে নাকি সরকারিভাবে TR7 ফর্মের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে যাওয়া বাড়তি টাকা সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেই নির্দেশিকাও লিখিত নয় মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ২১ জানুয়ারি থেকে সেই টাকা পাঠানো শুরুও করেছে প্রশাসন। তবে সেই টাকা পাঠাতে গিয়ে একাধিকবার হোঁচট খেতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। স্কুলগুলির মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রীদের তথ্য পৌঁছেছে সরকারি ডেটাবেসে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে সামনে এসেছে স্কুলগুলির গাফিলতির বিষয়।

এদিকে এই ঘটনায় প্রকাশ্যে আসার পরেই উঠে আসছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। বিভিন্ন মহলের মতে, একসাথে এত ছাত্রের ক্ষেত্রে ভুল হল কীভাবে! ভুল যখন স্কুলের সেক্ষেত্রে ছাত্রদের হেনস্থার মুখে পড়তে হবে কেন! নিছক ভুল নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post