রবিবারই হিমবাহ ফেটে প্রবল জলচ্ছ্বাসের খবর ও কিছু ভিডিও সামনে এসেছিল। ছুটির দিন বাড়িতে বসে দিনভার দেশবাসী দেখেছিল প্রকৃতির সেই তাণ্ডব রুপ। প্রকৃতির বাধা উপেক্ষা করে রবিবার রাতেও আইটিবিপি ও সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছে। কিন্তু ধ্বংসলীলার ভয়াবহতা তখনও বোঝা যায়নি। সোমবার সকাল থেকেই জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ছবি ও ভিডিও তোলা হয়। যাতে বোঝা যায় কোন কোন এলাকা কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে প্রকৃতির রোষে পড়ে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
এই নদীবাধের একটি বড় অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নজরদারি বিমান থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধৌলিগঙ্গা ও ঋষিগঙ্গার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই বাঁধের বড় অংশ ভেঙে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, তপোবনের কাছাকাছি দুটি সেতু হিমবাহ ভাঙা জলের তোড়ে পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে। এই সেতু দুটি ছিল কার্যত মালারি উপত্যাকায় প্রবেশের একমাত্র উপায়। পাশাপাশি ধৌলিগঙ্গা থেকে অলকানন্দার তীর বরাবর পিপলকোটি হয়ে চামোলি পর্যন্ত ব্যাপক ধ্বংসলীলা দেখা গিয়েছে।
এনটিপিসি জানিয়েছে, নির্মিয়মান তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে। যার উৎপাদন ক্ষমতা হওয়ার কথা ছিল ৫২০ মেগাওয়াট। আপাতত সেটি ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। এর ভিতর কয়েকটি সুড়ঙ্গে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। তবে বিপুল পরিমাণ কাদামাটি ও বরফের চাঁইয়ের জন্য কয়েকটি সুড়ঙ্গের কাছাকাছি যাওয়া এখনও সম্ভব হয়নি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback