"মিথ্যে বলছেন", মোদিকে তোপ মমতার

"মোদি মিথ্যে কথা বলছেন। মিথ্যে কথা বলা মোদির অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।" সোমবার বাজেট বিতর্কের জবাবি ভাষণে এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছেন। রবিবার হলদিয়ায় মোদি বলেছেন, রাজ্য সরকারের জন্যই এখানকার কৃষকরা কিষাণ সম্মাননিধির সুবিধা পাননি। জবাবে মমতা বলেন, ভাগচাষিরাও টাকা পান এটা তিনি চান। কিন্তু মোদির প্রকল্পে ২ একর জমি যাদের রয়েছে, সেই কৃষকরা টাকা পাবেন। "আমরা কেন্দ্রকে বলেছিলাম, আপনাদের কাছে যে তথ্য আছে, সেটা রাজ্যকে দিন। কিন্তু কেন্দ্র স্টেট পোর্টালে কৃষকদের হিসাব দেয়নি। নিজেদের পোর্টালে আলাদা করে হিসেব নিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, রাজ্য সরকার একবার সার্ভে করে দেখুক। কেন্দ্র ৬ লক্ষ কৃষকের নামের তালিকা দিয়েছে। আমরা আড়াই লক্ষ সার্ভে করে দিয়েছি। আমরা বলেছি প্রতিদিন এক লক্ষ করে সার্ভে করে দেব। আমি একথা জানিয়ে বারবার চিঠি দিয়েছি।" সেইসঙ্গে কিষাণ নিধি প্রকল্পে খেতমজুর ও ভাগচাষিদেরও যুক্ত করতে দাবি জানান মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিও তুলে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। 

কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী বলেন, পুরসভায় আড়াই বছর নির্বাচন হয়নি। মন্ত্রীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের উপর কোনও ভরসা নেই। পিকে-র উপর ভরসা। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যে কটা শিল্প হয়েছে জবাব দেবেন? মার্সিডিজ বেঞ্জ আনবেন বলেছিলেন, একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চও আনতে পারেননি! সমালোচনা করলে মুখ্যমন্ত্রী রেগে যান। অন্ডালে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় জমি কই? প্রশ্ন বিরোধীদের। মমতার কথায়, এই বাজেট ভোটের ইস্তেহার হলে কোনও আপত্তি আছে? তিনি বলেন, আমরা আর কিছুদিন আছি এমন নয়। ২০২১ সালে জয় পাবই।

আমফান দুর্নীতি নিয়ে এদিন সরকারকে তোপ দাগেন সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্য। মমতার দাবি, আমফান মোকাবিলায় ৯৯ শতাংশ লোক ভালোভাবে কাজ করেছে। আমফানের সময় এসে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট থেকে অগ্রিম টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও অতিরিক্ত টাকা দেননি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ১৯টি শিল্পের সূচনা হবে। ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০০ লোকের চাকরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভ্যান্স সেলে যত সমস্যা, অভিযোগ জমা পড়েছে, তার ৯০ শতাংশেরই সমাধান করা হয়েছে। জেলায় ১৮৩টি ব্রিজ হয়েছে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post