মহেশতলায় শোভন-বৈশাখীকে কালো পতাকা দেখালো তৃণমূল

শনিবার মহেশতলা এলাকায় বিজেপির রোড শো ছিল। এই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় অংশগ্রহন করেন। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের রোড শো চলাকালীন তাঁদের কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের লক্ষ্য করে ঝাঁটা, জুতোও দেখায় তৃণমূলের সমর্থকরা। এমনকি বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের মিছিলকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের লোকজনের হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। জানা যাচ্ছে, এদিন বিকেলে বিজেপির রোড শোয়ের সামনের দিকে বাইক মিছিল করছিল বিজেপির সমর্থকরা। তাঁদের বাঁধা দেয় পুলিশ।

 এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। এরপর সমস্যা মিটিয়ে মিছিল কিছুটা এগোতেই দেখা যায় রাস্তার ধারে একদল লোক কালো পতাকা, ঝাঁটা, জুতো ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে। তাঁরাই শোভন-বৈশাখীর সামনে কালো পতাকা ও ঝাঁটা-জুতোর প্রদর্শন করে। এই সময়ই দুদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনে। রোড শোয়ের পর এক জনসভায় ভাষণে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, মহেশতলায় যাদের সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস গড়েছিলাম, তাদের হাতেই এখন কালো পতাকা! উল্লেখ্য এই মহেশতলার বিধায়ক দুলাল আদতে শোভনবাবুর শ্বশুর। নিজের ভাষণে শোভন চট্টোপাধ্যায় তিনি শ্বশুর তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাসকেও একহাত নিয়েছেন। এদিনের জনসভায় তিনি বলেন, কোনও কোম্পানি উঠে যাওয়ার সময়ে ‘লালবাতি জ্বলে গিয়েছে’ বলা হয়। তখন নতুন নামে কোম্পানি খুলতে হয়। তৃণমূলের লালবাতি জ্বলে গিয়েছে। যাদের সামনে রেখে তৃণমূল গড়েছিলাম, এখন তাদের হাতেই কালো পতাকা। 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.