কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সরকারের। প্রশাসনের সব নিষেধ অমান্য করে দুই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে কৃষক মহাপঞ্চায়েত। সেখানে কৃষি আইন বাতিলের দাবি উঠেছে। জমায়েতের ওপর নিষেধ না মেনে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শামলিতে কয়েক হাজার কৃষকের উপস্থিতিতে শুক্রবার মহাপঞ্চায়েত হয়েছে। সেখানে ২ মাসের জন্য জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। দৌসায় আরেকটি মহাপঞ্চায়েতে কৃষি আইন বাতিলের পক্ষে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে নিহত কৃষকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের কার মামলাগুলি প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলটে সেখানে বলেছেন,এই আইন ধানার আগে কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। রাষ্ট্রীয় লোকদলের নেতা অজিত চৌধুরী বলেছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের হাঙ্গামা তৈরি করেছে বিজেপি। দিল্লি পুলিশ ছিল নীরব দর্শক।
হরিয়ানার শিরসায় আরেকটি মহাপঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লোকদলের অভয় চৌতালা। তিনি সম্প্রতি কৃষকদের সমর্থনে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের বাগপত ও হরিয়ানার জিন্দেও মহাপঞ্চায়েতে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার কৃষক। উত্তরপ্রদেশের দাদরি চরখি গ্রামে ১৮ তারিখে মহাপঞ্চায়েতে থাকবেন টিকায়েত। দাদরি জেলার সাঙ্গোয়ান, ফোগত ও শেওরা পঞ্চায়েত হরিয়ানার উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌতালাকে সামাজিক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে সাংসদ ধরমবীর সিং ও দাদরির প্রাক্তন বিধায়ক রাজদীপ ফোগতকেও বয়কট করা হচ্ছে।
Thank You for your important feedback