কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে শনিবার দেশজুড়ে কৃষকদের চাক্কা জ্যাম। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও উত্তরাখণ্ড বাদে বাকি দেশে বেলা বারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত পথ অবরোধ করা হবে। এই বিক্ষোভ সামলাতে বিপুল নিরাপত্তার আয়োজন হয়েছে প্রশাসনের তরফে। দিল্লি সীমান্তে পুলিশের পাশে তৈরি রাখা হয়েছে আধা সামরিকবাহিনীকেও। আনা হয়েছে জলকামান। উড়ছে ড্রোন। যে কোনও সম. মেত্রো চলাচল বন্ধ করতে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শনিবারের পুলিশি বন্দোবস্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। প্জাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রংসঘের মানবাধিকার দফতর বিক্ষোভ মোকাবিলায় দুই পক্ষকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর কথা বলেছে। মানবাধিকারকে সম্মান জানিয়ে কৃষকদের সমস্যার সমাধান বের করতে বলেছে তারা। টুইটে তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অফলাইন ও অনলাইনে নিশ্চিত করতে হবে। গত ৭০ দিন ধরে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার চাষি দিল্লির টিকরি, গাজিপুর ও সিংঘু সীমান্তে বসে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, দিল্লিতে চাক্কা জ্যাম হবে না। অন্যত্র রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। তাঁদের আন্দোলন দমন করতে সরকার যে পীড়ন চালাচ্ছে, ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করেছে, জল-বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে তারও প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।
Thank You for your important feedback