এপ্রিলেই স্বাভাবিক হতে পারে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা

গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। যদিও লকডাউনে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক ও চিকিৎসার প্রয়োজনে ভিন রাজ্যে থাকা মানুষদের ঘরে ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছিল রেলমন্ত্রক। কিন্তু যাত্রীভাড়া থেকে আসা রেলের আয় একেবারেই তলানিতে চলে গিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। আনলক পর্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো দূরপাল্লার ট্রেন চালু করা হয়েছে। যেগুলি স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই চলছে এখনও। সূত্রের খবর, আগামী এপ্রিল থেকেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে চলেছে রেলমন্ত্রক। অপরদিকে উল্লেখযোগ্য দিক হল আগামী ৩১ মার্চ মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বর্তমানে চলাচলকারী স্পেশাল ট্রেনগুলির। ফলে এরপর ওই ট্রেনগুলি আগের নম্বরে চালাতে বাধা নেই রেলের। 

 রেল সূত্রের খবর, যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিট থেকে রেলের বড় আয় হয়। কিন্তু করোনা কালে ট্রেল চলাচল বন্ধ থাকায় সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরণ হয়নি চলতি অর্থবর্ষে। এবার নতুন অর্থবর্ষে পূর্ণমাত্রায় যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে আয়ের দিকটি নিশ্চিত করতে চাইছে রেলকর্তারা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যাত্রী পরিবহণ থেকে রেলের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে প্রায় দশ মাস ধরেই বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন। ফলে ঘাটতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা। যদিও আনলক পর্বে শুরু হওয়া স্পেশাল ট্রেন থেকে রেলের আয় হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এতেও ঘাটতি পূরণ হয়নি। তাই এপ্রিল মাস থেকেই পূর্ণমাত্রায় দূরপাল্লা ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাতে চাইছে রেল কর্তাদের একটা বড় অংশ। 

রেল কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, দেশে করোনার টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণের হারও নগণ্য। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে জনজীবন এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করাই যেতে পারে। এছাড়া লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো পরিষেবাও পুরোপুরি চালু হয়েছে দেশের সমস্ত প্রান্তেই। সেখানেও সংক্রমণের হার কম। ভারতীয় রেল বর্তমানে প্রতিমাসেই ১৫০টি করে নতুন দূরপাল্লার ট্রেন চালু করেছে স্পেশাল নম্বর দিয়ে। তাই যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে বাধা কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post