ভোট Live: বিজেপি কর্মীকে বুথেই বাইরেই গুলি করার হুমকি তৃণমূল প্রার্থীর

 


 বিজেপি কর্মীকে বুথেই বাইরেই গুলি করার হুমকি তৃণমূল প্রার্থীর

বিজেপি কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকি দিলেন তৃণমূল প্রার্থীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় পুরুলিয়া বিধানসভা আসনের মুনসেফডাঙায় একটি বুথে। অভিযোগ, একটি চিহ্নে ভোট দিলে সেটি অন্য জায়গায় পড়ছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল এজেন্টরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখনে বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপরই তিনি গাড়ি থেকে নেমে এসে বিজেপিরই এক কর্মীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও পরে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন, তবে ওই হুমকি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। গোটা ঘটনার অভিযোগ ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া জেলার নির্বচনী দফতরে জমা পড়েছে। অপরদিকে, পুরুলিয়ার মানবাজার বিধানসভার মাগুড়িয়া ১৬ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থীর বোতামের পাশে কালি দিয়ে চিহ্নিত করে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে পুরুলিয়া শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এরপরই ওই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে কয়েকজন আহত হয়েছেন। 



পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল। গড়বেতা বিধানসভার ধাদিকা, উপরজবা, হেতাশোল এলাকায়।  কমিশনের নির্দেশে তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। কথা বললেন ভোটারদের সাথে। একটি বুথে বিজেপি কর্মীদের জটলা থাকায় সেখান থেকে জটলা সরিয়ে দেয় পুলিশ সুপার ও পুলিশ কর্মীরা। অপরদিকে গড়বেতার ২৫৮এ বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কমিশনের তরফে লাগানো ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজেও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। ওই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জেলার  রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

 

বেলা ৪টে পর্যন্ত ৭০.১৭ শতাংশ ভোট পড়ল বঙ্গে  

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় বেলা চারটে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭০.১৭ শতাংশ। সেখানে ওই একই সময়ে অসমে ভোট পড়েছে ৬২.২৬ শতাংশ। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের হার অনেকটাই আশাপ্রদ। মহা উৎসাহে চলছে মানুষের রায়দান। শনিবার সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হলেও কয়েকটি বুথে ভোটগ্রহন শুরু হতে দেরি হয়। মূলত ইভিএম খারাপ এবং কারচুপি নিয়ে গোলমালের অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় সমস্যা হয়েছে কয়েকটি বুথে। এদিন বেলা চারটে পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ভোট পড়েছে ৬৮.২০ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৭২.১০ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৬৯.৩১ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬৯.০২ শতাংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৭২.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

 ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ, বিক্ষোভে উত্তাল দক্ষিণ কাঁথি

সকাল থেকেই প্রথম দফার ভোট নিয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ আসছে। এরমধ্যে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা এলাকার ১৭২ নম্বর বুথে উত্তেজনা চরমে ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ, মাজানা মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই বুথে কেউ তৃণমূলে ভোট দিলেও সেটা বিজেপিতে পড়ছে। তবে এই অভিযোগের কোনও প্রমান বা কারণও দেখাতে পারেনি তৃণমূল সমর্থকরা। কিন্তু সকাল থেকেই এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ কাঁথির ১৭২ নম্বর বুথ। দু দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধে। যার জেরে সকাল থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পর্যবেক্ষকরা। প্রিসাইডিং অফিসারদের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। পরে সব পক্ষকে শান্ত করে ওই বুথে সকাল সাড়ে দশটার পর শুরু হয় ভোট গ্রহন। স্থানীয়ভাবে জানা যাচ্ছে, কারচুপির অভিযোগে ইভিএম বদলের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে ভিভিপ্যাট বদল করে ফের ভোটগ্রহন শুরু হয়। 



সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুর

বেলা এগারোটা নাগাদ ফের খবরের শিরোনামে দক্ষিণ কাঁথি। এবার বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসে। সাবাজপুর এলাকায় তিনি যান গোলমালের খবর পেয়ে। গাড়ির সামনের সিটেই বসে ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু। তাঁর গাড়ির চালক আহত হয়েছেন। গাড়ির সমস্ত কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। গাড়ির চালকের অভিযোগ, প্রায় ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতী আচমকা জড়ো হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। সৌমেন্দুর দাবি, তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়ে এসব করছে।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post