‘দুঃশাসনের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরি বিজেপি’, ঝাড়গ্রামে তোপ মমতার

বুধবারও হুইল চেয়ারেই ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে জনসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জনসভা থেকে তিনি একদিকে লোকসভায় পরাজয়ের জন্য হতাশা প্রকাশ করেন, অন্যদিকে উন্নয়নের খতিয়ানও দেন। আবার বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করার পাশাপাশি জঙ্গলমহলের শান্তির বিষয়েও যুক্তি দিলেন। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, ‘আগে রক্তস্নাত থাকতো জঙ্গলমহল। যখন এখানে শুধু খুন হত, কেউ আসত না। তখন আমি আসতাম। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলে একটা খুন হয়নি এখানে’। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, ‘যদি চান আমি থাকি, তাহলে খগেন মাহাতোকে ভোট দেওয়া মানে আমাকে ভোট দেওয়া’। 

 

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনারা চান আমি থাকব না। নিশ্চয়ই আপনারা আপনাদের মতো ভোট দিতে পারেন। এটা আমার মা-ভাই-বোনদের উপর ছেড়ে দেব’। তবে লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে বিজেপির জয় নিয়েও আক্ষেপ শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। গোপীবল্লভপুরের সভা থেকে তিনি বললেন, ‘দুঃশাসনের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরি বিজেপি। ওরা আদিবাসীর জমি কেড়ে নিতে চায়। আর বিজেপি বলছে আমরা সবাই চোর। লোকসভা নির্বাচনে আমরা ঝাড়গ্রামে হেরেছিলাম। কিন্তু বিজেপি কিছু করেনি এই দুই বছরে। ওরা আদিবাসীদের সম্মান দিতে জানে না। লোকসভায় জিতেছিল বিজেপি, কী করেছে তারা? এবার ওদের শূন্য করে দিন’।


পাশাপাশি এদিন তিনি তাঁর উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন গোপীবল্লভপুরের জনতার সামনে। মমতা বলেন, ১৮ বছর বয়সের পর থেকে সব বিধবারা ১ হাজার টাকা করে পাবে। এর জন্যু দুয়ারে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। আগামী দিন এমন সিস্টেম আনব, দরজায় দরজায় রেশন দিয়ে আসবে সরকার।  ক্লাস ফোরের বাচ্চাদের জুতো দিচ্ছি। মিড ডে মিল-বইও দেওয়া হবে। মাহাতদের জন্য কুর্মি বোর্ড তৈরি করে দিয়েছি। সারা দেশে যখন হতাশার চিহ্ন আমি কিন্তু ঝাড়গ্রামর জন্য যতটা পেরেছি ততটা করেছি। এখানে এত উন্নয়ন হয়েছে যে ঝাড়গ্রামকে মানুষ এখন জঙ্গলসুন্দরী বলে।

 

বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, মিথ্যে কথা বলে ভোট নিয়েছে। কাউকে বলেছে ৫০০ টাকা নাও মিছিলে যাও। কাউকে বলেছে ৫০০০ টাকা নাও বিজেপিকে ভোট দাও। মনে রাখবেন এটা বিজেপি-র টাকা না, আমার-আপনার টাকা। এরপরই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন ভোটে বহিরাগত প্রবেশ হবে বলে। মমতার কথায়, ১ হাজার নেতা নিয়ে এসেছে বাইরে থেকে। আর হাজার হাজার বহিরাগত গুন্ডা। ওরা চায় ঝাড়গ্রাম দখল করতে। ওরা চায় পুরুলিয়া দখল করতে। ওরা চায় গোয়ালতোড় দখল করতে। উল্লেখ্য, বিকেলেই কলকাতায় ফেরার কথা তৃণমূল নেত্রীর। সন্ধ্যায় তিনি তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবেন।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post