বিধানসভা ভোট একেবারে দোরগোড়ায়। কলকাতায় যদিও একমাস হাতে আছে, তাই টানটান উত্তেজনা প্রচারে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই টিকিট পেয়েছেন, আবার কয়েকজন শুধু নিজেদের ভোট প্রচারেই সীমাবদ্ধ রাখছেন। শাসকদল তৃণমূলের দিকেই টলিউডের ঝোঁকটা বেশি, তবে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। এরমধ্যে কলকাতায় বিধানসভা আসনে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন টলি সুন্দরী শ্রাবন্তী এবং পায়েল সরকার। আছেন বাবুল সুপ্রিয়ও। তবে নজর কাঁড়ছে বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র।
এখানে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দুই টলিউডের তারকা সুন্দরী ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ, বেহালা পশ্চিমে শ্রাবন্তী এবং বেহালা পূর্বে পায়েল সরকার। দুজনেই প্রথমবার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সুতরাং বলাই যায় এই দুই গ্ল্যামারাস কুইন অভিনয় জগৎ থেকে এবার নেমে এলেন রাজনীতির ময়দানে। ফলে তাঁদের রোজকার কাজকর্ম কিংবা পরিচর্যায় অনেকটাই অদলবদল হয়েছে। এবারে বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী তথা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্ট্যোপাধ্যায় কথায় আসা যাক। তিনি ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবও বটে। ফলে রাজনীতির আঙিনায় একেবারে আনকোরা শ্রাবন্তী এই দিক থেকে একেবারেই আনকোরা বলা চলে। তবে শ্রাবন্তীও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। তিনি এই দাবদাহ উপেক্ষা করেই সকাল বিকাল প্রচার করছেন বেহালা পশ্চিমের আনাচে কানাচে।
অন্যদিকে বেহালার পূর্বে প্রার্থী আরেক টলি অভিনেত্রী পায়েল সরকার। তিনিও কলকাতার গরমে রোদে ঘেমে নেয়ে প্রচার দেওয়াল লিখন সবই সামলাচ্ছেন। আবার দলীয় কার্যলয়ে গিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। পায়েলের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। যিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভেন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। ফলে লড়াই যথেষ্টই কঠিন।
দুই অভিনেত্রীর জীবন এবং লাইফস্টাইলে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে ভোটের টিকিট পাওয়ার পর। তারকাসূলভ ওয়েস্ট্রান পোশাক, জীনস-শর্টস ছেড়ে এখন পড়তে হচ্ছে শাড়ি বা সালোয়াল। এছাড়া ঝা চকচকে বাড়িতে সারাদিন এসিতে থাকা কিংবা গাড়িতে এসির মধ্যে থাকা তারকা এখন পথের ধুলো মেখে, রোদে পুড়ে প্রচার করছেন। প্রতিদিনই রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে। তবে চোখে কিন্তু থাকছে সানগ্লাস, মাস্ক।
কলকাতায় ভোট শেষের দিকে হওয়ায় হাতে একুট সময় পাওয়া গিয়েছে। সেইমতো করে প্রচার চালানো যাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন শ্রাবন্তী এবং পায়েল। আবার সাধারণ আমজনতা কিন্তু অভিনেত্রীদের দেখতে ছুতে চলে আসছেন। কখনো বা সেলফি তুলছেন। কখনও চেনা পাড়ায় প্রচারে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠছেন। আবার প্রচারে আগে কোনও মন্দিরে ঢুকে পুজোও দিচ্ছেন। কারণ ভোটের লড়াইয়ে তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তারকা প্রার্থী হওয়ার চাপ যে বিশাল।
Thank You for your important feedback