নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে কমিশনে ৬৩টি অভিযোগ জমা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে বয়ালের একটি বুথ থেকে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের কাজ নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তুলেছিলেন। অথচ সেই নন্দীগ্রামের ভোট নিয়েই দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্যে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দূবে। তিনি জানান, নন্দীগ্রামে যে-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা থেকে বড় ধরনের গন্ডগোল হতে পারত। ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও লাঠি নিয়ে একসঙ্গে অনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন। মহিলাদের এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল সামনে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে রাজ্যের পুলিশই। তবে তিনি এও জানান, এমনটা হতে পারে তার আগাম খবর ছিল না। তবুও কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মহিলাদের রাখা হয়েছিল, তাই শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ যে আলগা সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন বিবেক দূবে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, 'এটা বদলাতে না-পারলে বঙ্গের প্রতিটি নির্বাচনে বারে বারে এই দৃশ্য ফিরে আসবে'।
বিবেক দূবে আরও জানিয়েছেন, এদিনের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী দফা থেকে প্রতি পাঁচ কোম্পানি আধা সেনায় এক কোম্পানি মহিলা বাহিনী রাখতে হবে। তবে নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। তিনি বললেন, নন্দীগ্রামের বয়ালে যে-ভাবে দু’পক্ষ দু’দিকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, তাতে স্রেফ বুঝিয়ে কথা বলে তাদের সরিয়ে দেওয়া সহজ কাজ ছিল না। তবে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামলে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। বহিরাগত প্রসঙ্গে বিবেক দূবে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এটা বুঝবে না কারা বহিরাগত। এটা রাজ্য পুলিশের দেখার বিষয়, তারাই বলে দেবে কোথায় গোলমাল হচ্ছে, সেটা কতদুরে অবস্থিত।
Post a Comment
Thank You for your important feedback