স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী কমিশন, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। এবার তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সিনহা উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করলেন। বুধবারই তিনি খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি। গত রবিবারই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা যান কোভিড আক্রান্ত খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। গত ২২ এপ্রিল ওই কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। তার আগেই তিনি করোনা পজিটিভ হন। ফলে ভোটের দিনও তিনি নিজের কেন্দ্রে ঘুরতে পারেননি। উল্লেখ্য, খড়দহে এবার বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বদলে কাজল সিনহাকে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু করোনার আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রার্থীর মৃত্যুর দু’দিনের মাথায় কমিশনকেই দায়ী করে খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী। 

 


তাঁর অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশনই। প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তার কথা ভাবেনি নির্বাচন কমিশন। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন এবং অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির  অনিচ্ছাকৃত খুন এবং ষড়যন্ত্রের ধারায় এফআইআর দায়ের করার অনুরোধ করেছেন খড়দহ থানায় জমা দেওয়া চিঠিতে। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমার স্বামী করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে গত ১৬ এপ্রিল ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবিতে কমিশনে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আরও একটি চিঠি দিয়েছিল ২০ এপ্রিল। শুধু ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দায়ভার ঝেড়ে ছিল কমিশন। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। ৮ দফাতেই ভোটগ্রহণে অনড় থেকেছে তারা। নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করলে আমার স্বামী আজ বেঁচে থাকতেন’। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ৩০৪ (পার্ট II) ও ১২০বি ধারায় এফআইআর করেছেন প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post