করোনা নিয়ে বৈঠকে আমাকে ডাকাই হয়নি, কেন্দ্রকে তোপ মমতার

দেশজুড়ে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে শুক্রবারই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে করোনার বাড়বাড়ন্ত, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই ভিডিও বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। শুক্রবার দুর্গাপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এই দাবিই করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান,  করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬জনের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বানিয়েছে রাজ্য। যারা গোটা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।  


এদিন তৃণমূলনেত্রী তাঁর যাবতীয় সভা বাতিল করেন। তবে ভার্চুয়াল ভাষণ দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, কমিশের বিধি মেনে সভা বাতিল করেছি। সবাই ভোট দিন। আপনাদের ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা ভোট না দিলে সরকার গঠন হবে না। তবে তিনি এদিন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন। মমতার কথায়, ‘নির্বাচন কমিশনের সব নির্দেশই আসে রাত ৮টায় না হলে রাত ১০টায়। প্রধানমন্ত্রী সভা বাতিল করার পরই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল। ততক্ষণ করেনি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সভা ছিল। এই নির্দেশ তো আগেও দিতে পারত নির্বাচন কমিশন। আর রাতে দিল কেন?‌ আগে দিলে তো আমি আরও দুটো সভা করতে পারতাম’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন নির্বাচন কমিশনকে পরোক্ষে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একাংশের অভিযোগ, এর আগে বহু বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হলেও তিনি যাননি। 


এদিন অক্সিজেনের আকাল নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত গাফিলতির জন্যই এই হাল হয়েছে। আজ করোনা নিয়ে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে আমি আমন্ত্রিত নই’। তিনি আরও দাবি করেন, একবছর আগে থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সিজেনের অভাব হতে পারে বলে রিপোর্ট দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি যখন চূড়ান্ত খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আট দফা ভোট নিয়েও ফের কমিশনকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, আট দফার ভোট পাঁচ দফায় করলে কি হতো?‌
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post