ভোটের আগেই দিনই কসবায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কসবার বিভিন্ন এলাকায় বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় কসবার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, ‘ভোট দিতে গেলে খুন করে দেওয়া হবে’ হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাড়ি বাড়ি ঢুকে। মুখে মাস্ক দেওয়া একদল দুস্কৃতীর দৌঁড়াত্মে অতীষ্ট হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, একটি বাচ্চা মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে মারধোর করা হয়েছে, এক যুবককে লোহার রড দিয়ে মারধোর করে তাঁর পায়ে রড ঢুকিয়ে দিয়েছে। একাধিক বাড়ি ও ঠেলা রিকশা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে এদিন বিকেলে সেখানে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। যান ডিসি সাউথ ওয়েস্ট রশিদ মুনীর খান। পুলিশি নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী পুলিশকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। গোটা ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় কসবায়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কসবার বিজেপি প্রার্থী ডাঃ ইন্দ্রনীল খান। তিনি সেখানেই ধরণায় বসে পড়েন। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি দল এলাকায় বাঁশ, রড, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালায়। তাঁদের হাত থেকে রেহাই পায়নি একটি শিশুও। পুলিশকে বলেও কোনও ফল মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কসবার ওই এলাকায় বিজেপির প্রভাব রয়েছে। বেশ কয়েক ঘর বিজেপি সমর্থক রয়েছে। ফলে সেখানে ভয় দেখাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলেই দাবি বিজেপির। পরে ওই এলাকায় যান সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষও। তিনিও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তোলেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা আগেই খাস কলকাতায় এই ধরণের ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এলাকায় রয়েছে আতঙ্ক।
Post a Comment
Thank You for your important feedback