মমতা উস্কানি না দিলে শীতলকুচির ঘটনা ঘটত না, দাবি শাহর

শনিবারই রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট শেষ হয়েছে। আট দফার ভোটের অর্ধেক সম্পন্ন হল, কিন্তু ভোটে রক্তক্ষয় নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের বঙ্গে প্রচারে ঝাঁপালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে তিনি রবিবার প্রথম রোড শো করলেন নদিয়ার শান্তিপুরে, দ্বিতীয় রোড শো করলেন রানাঘাটে। জমজমাট রোড শোয় ভিড়, উৎসাহ উদ্দিপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। অপরদিকে এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতি উত্তাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। এদিন শান্তিপুরে রোড শো শেষে এই ঘটনা নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

 


তিনি জানালেন, কোচবিহারের এক বুথে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হামলা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতিয়ার লুঠ করার চেষ্টা করছিলেন, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী হাতিয়ার বাঁচানোর জন্য গুলি চালায়। তাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে যেভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তুলোধনা করলেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, ‘আমি মমতার বিবৃতি দেখেছি। উনি ৪ জনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন, আনন্দ বর্মনকে নয়। মৃত্যুতেও তোষণের রাজনীতি করছেন তিনি। আমাদের প্রত্যেকের মৃত্যুতেই দুঃখ অনুভূত হয়। আনন্দ বর্মন যেহেতু রাজবংশী তাঁই ভোটব্যাঙ্ক নয়, তাই তাঁর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নেই। 


এরপরই তাঁর তোপ, ‘মমতার কাছে আমার প্রশ্ন, ৪ জনের মৃত্যুর জন্য আপনার ভাষণ দায়ী নয়? আপনি উস্কানি না দিলে তাঁরা হামলা হতো না। এখনও সময় আছে আনন্দ বর্মনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিন’। শাহের দাবি, এই ঘটনায় মমতার আচরণ বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। তিনি বলেন, ‘আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। বাকিদের মৃত্যুতেও আমরা দুঃখিত। মৃত্যু সব সময় রাজনীতির উর্ধে থাকা উচিত। সেইসঙ্গে তিনি তৃণমূলনেত্রীকে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শও দিলেন এদিন শান্তিপুর থেকে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post