পঞ্চম দফাঃ বুথে ঢুকতে বাধা মদন-পার্নো-সুজতকে, সব্যসাচীকে ঘিরে বিক্ষোভ

পঞ্চম দফার ভোটে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত গোলমাল ছাড়া ভোট এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। নদিয়ার কল্যাণী এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগরে কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনার খবর রয়েছে। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল প্রার্থীদেরই বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার।

 তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী সুজিত বসু, যিনি রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রীও বটে। এদিন বুথে বুথে টহল দিতে দেখা গেল তাঁকে। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। অভিযোগ, কালিন্দিতে ৬৭২ নম্বর বুথে প্রবেশ করতে গেলে সুজিত বসুকে আটকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেসময় ওই বুথেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন দমদমের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু। সুজিত বসু বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে ওই বুথের সামনে থেকেই রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করে অভিযোগ করেন সুজিতবাবু। শেষ পর্যন্ত সমস্যা মেটে এবং সুজিত বসু ওই বুথে ঢুকতে পারেন। 


কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র, জনপ্রিয়তায় তিনি কোনও টলি তারকার থেকে কম যাননা। এদিন তাঁকেও বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কামারহাটি কেন্দ্রর আড়িয়াদহতে ১৬৫/১৬৬ বুথে ঢোকার পথে কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই বুথে ঢোকার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মদন মিত্রের বুক পকেট সার্চ করতে যায়। এতেই বেজায় চটে যান মদন মিত্র। তিনি স্বভাব সুলভ ভঙ্গিমায় হুঙ্কার ছাড়েন ‘মাই নেম ইজ মদন মিত্র। কাকে ভয় দেখাচ্ছো, মদন মিত্রকে? পকেট সার্চ করা?’ এরপরই পকেট থেকে একটি কালী ঠাকুরের ছবি বের করে দেখান তৃণমূল প্রার্থী। পরে ওই ছবি ছাড়াই বুথে ঢুকতে পারেন মদন। তাঁর ক্ষোভ, ‘এটা গণতান্ত্রিক দেশ। কেন মা কালীর ছবি নিয়ে ওরা যেতে দেবে না?’ তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার কথা কমিশনকে জানাবেন।  


বিজেপির তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্র, তিনি বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। এদিন তিনিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কাছে বাধা পেয়েছেন। পার্নোর দাবি, ভোট শুরু হতেই  বিকেসি কলেজে ইভিএম বিভ্রাটের খবর পাই। সেখানে যেতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে বাধা দিয়েছেন বলেই অভিযোগ করেন পার্নো। পরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। বলছে মেশিন খারাপ। বলছে প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না কেন?’  এরপর বেলার দিকে তাঁকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলকর্মীরা। পার্নো বরাহনগর কেন্দ্রের আলমবাজারে একটি বুথ পরিদর্শনে গেলে তৃণমূলকর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বলে অভিযোগ।

বিধাননগরের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। এদিন তিনিও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ভোটের দিন। দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। প্রথমটি বিধাননগরের শক্তিনগর এলাকায়। সেখানে সব্যসাচী দত্ত ঢুকতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। দু’দলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। প্রবল ইটবৃষ্টি হয়েছে। শক্তিনগরের পর নয়াপট্টিতে সব্যসাচীকে ঘিরে ফের বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে উদ্ধার করে।  
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post