ভোট প্রার্থী হিসেবে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে আজও ‘বর্ণময়’ সুব্রত

ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রথম ভোটে দাঁড়ান বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে। আজ পঞ্চাশ বছর বাদেও তিনি বালিগঞ্জের প্রার্থী। এই ধরণের ঘটনা দেশীয় রাজনীতিতে খুবই বিরল। ১৯৭১ সালে প্রথমবার জিতে বিধানসভায় যান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু বিধানসভা ভেঙে যায় ফের পরের বছর, এরপর বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে ওই একই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। ৫ বছর বাদে বাম জমানা আসে এবং ৭৭ এর নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এরপর ১৯৮২ থেকে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থেকে প্রার্থী হয়ে বিধায়ক হন সুব্রতবাবু।


সুব্রতবাবু খুবই বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্র। বরাবরই ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতিতে আগ্রহ সুব্রতবাবুর। এই শ্রমিক আন্দোলনে বহুবার তিনি বিভিন্ন দেশের থেকে আমন্ত্রিত হন, প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতের। তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা সময় কলকাতার মেয়র হওয়া। তাঁর প্রবল সমালোচকদের মতেও কলকাতার মেয়র পদে দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন তিনি। যদিও ওই সময়ে বহুবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বাকবিতন্ডা হয় বলেই শোনা গিয়েছিল। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে যান, এবং ২০১০ সালে ফের ফিরে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে। এরপর ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে বাঁকুড়া আসন থেকে লড়াই করেন এবং হেরে যান। যদিও তখন তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী ছিলেন। সালে ২০১১ থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। বঙ্গ রাজনীতির সবচেয়ে বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায় মধ্য ৭০-এ এসে আজও অজাতশত্রু।  


 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post