ফল প্রকাশের পরই হিংসার চিত্র, পিটিয়ে খুন দুই বিজেপি কর্মীকে!

রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগড়িষ্ঠতা নিয়ে জিতল তৃণমূল কংগ্রেসই। বিজেপি তিন অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি, অপরদিকে শাসকদল ডবল সেঞ্চুরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মারধর, বোমাবাজি এবং খুনের ঘটনা সামনে আসছে। বিজেপির দাবি, তাঁদের দুই কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে রবিবার রাতেই। প্রথমটি কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে, দ্বিতীয়টি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। বিজেপির দাবি, কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকার নামে এক কর্মীকে রীতিমতো পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের দাবি, পুলিশের চোখের সামনেই পিটিয়ে মারা হয় অভিজিৎকে। তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার দাবি করেছেন, অভিজিৎ বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা ছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পুলিশের সামনেই মারধোর করে তাঁকে। যদিও পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই ফেসবুক লাইভ করেন অভিজিৎ, সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘স্বপন সমাদ্দার ও পরেশ পালের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন নারকেলডাঙা পুলিশের সামনে বাড়ি-ঘর সব ভেঙে দিল’। এরপরই তাঁর ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। 



অপর ঘটনাটি সোনারপুরের। প্রতাপনগর এলাকায় হারান অধিকারী নামে এক বিজেপি কর্মীকেও পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। পাশাপাশি আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতাপনগর এলাকায় রবিবার সকাল থেকেই বোমাবাজি হয়েছে। ফল প্রকাশের পর রাত আটটা নাগাদ তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বিজেপির পতাকা-ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে ব্যাপক মারধোর করা হয় এলাকার বেশ কয়েকজনকে। মহিলাদেরও মারধোর করা হয়েছে বলে দাবি। ওই হামলার জেরেই গুরুতর আহত হন হারান অধিকারী। তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাই। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.